কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও অনিরাপদ কার্যাভ্যাস

এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
1

কর্মক্ষেত্রের নিরাপদ ও অনিরাপদ কার্যাভ্যাস (Occuoational Safety and Hazzards in Workplace)

কর্মক্ষেত্রের নিরাপদ কার্যাভ্যাস

কারখানায় কাজের সময় উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। সেজন্য কাজ শুরুর পূর্বে নিম্নবর্ণিত বিপদমুক্ত অবস্থা সনাক্তকরণ করা উচিত -

কাজ শুরুর পূর্বে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা উচিত-

  • যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বেই এর ব্যবহার বিধি জানা 
  • ব্যবহার করার পূর্বে যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কীনা দেখতে হবে 
  • ভোঁতা, ভাঙ্গা, হাতলবিহীন বা ঢিলা হাতলযুক্ত যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ না করা
  • জব ভাইস ক্রাম্পে দৃঢ়ভাবে বেঁধে কাজ করা 
  • যন্ত্রের হাতলে যেন তৈলাক্ত দ্ৰব্য না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা 
  • যন্ত্রপাতি কখনও এলোমেলোভাবে রেখে কাজ না করা 
  • যে যন্ত্রের ব্যবহার প্রণালী জানা নেই সে যন্ত্র ব্যবহার না করা 
  • টিলা পোষাক পরিধান করে এবং খালি পায়ে কাজ না করা
  • কাজের সময় কখনও অমনোযোগী না হওয়া 
  • কম আলো বা অন্ধকারে কাজ করা উচিত নয় 
  • কাজের শেষে প্রতিটি মেশিন ও যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে 
  • মাথাকে রক্ষার জন্য শক্ত প্লান্টিক হেলমেট ব্যবহার করতে হবে 
  • চোখকে রক্ষার জন্য গগলস পরিধান করা উচিত 
  • কারখানায় কাজের জন্য যে মেশিন বা যন্ত্র উপযুক্ত সেই নির্দিষ্ট মেশিন বা যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে ।
  • ত্রুটিযুক্ত মেশিন বা যন্ত্রকে কার্যোপযোগী করে ব্যবহার করতে হবে। 
  • বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র বা মেশিন চালানার পূর্বে অবশ্যই বৈদ্যুতিক লাইন সঠিক আছে কীনা যাচাই করতে হবে এবং এর পরিচালনার সঠিক পদ্ধতিগুলো জানা আবশ্যক। 
  • ঘূর্ণায়নশীল যন্ত্রের সাথে টুলস বা সরঞ্জাম সংযুক্ত থাকলে উহা সরায়ে কাজ করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রের অনিরাপদ কার্যাভ্যাস

  • সেফটি গার্ডবিহীন মেশিন ব্যবহার 
  • জবের ধারালো প্রাপ্ত ফাইলিং না করে খালি হাতে ধরা
  • সেফটি গার্ডবিহীন মেশিন ব্যবহার করা
  • মেঝেতে পতিত তেল, গ্রীজ, মবিল বা পিচ্ছিল কারক পদার্থ সময়মত পরিষ্কার না করা
  • অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড প্রোভস ও গগলস পরিধান না করা
  • মেশিন চালু অবস্থায় পরিমাপ করা।

পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা (Cleanliness) : যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যে কর্মস্থল ঝাড় দেয়া, ধোয়া-মোছা করা, যন্ত্রপাতিকে বিধি অনুযায়ী সাজানো বা সংরক্ষণ করা, মেশিনপত্রের বিপদজ্জনক অবস্থাদি মেরামতসহ বৈদ্যুতিক ত্রুটি দূরীকরন এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করার নামই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা (Cleanliness)। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নিম্নরুপ ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যায়।

  • প্রতিদিন অন্ততঃ একবার সমস্ত অফিস পরিষ্কার করা। 
  • টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • খাওয়ার আগে এবং পরে বা যে কোন কাজ শেষে সাবানের পরিবর্তে handwash ব্যবহার করা। এতে করে রোগ জীবাণু ছড়ানোর হার কম থাকে
  • টয়লেট (Washroom) এ টাওয়াল এর পরিবর্তে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা। তানা হলে টাওয়াল ব্যবহারের ফলে নানা রোগ জীবাণু আরেক জনের কাছে ছড়াতে পারে। যা দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • কর্মীর হাত-মুখ ধৌতকরনের পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
  • টয়লেট ও সাওয়ার এ পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।
  • টয়লেট থেকে কমপক্ষে ২০ ফুট দূরে সুপেয় পানি (Drinking Water)- এর ব্যবস্থা রাখা।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ 

ড্রাফটিং ওয়ার্কশপে তোমরা নিরাপত্তাজনিত কোন কাজে সচরাচর ব্যবহার্য কী ধরনের সেফটি ইকুইপমেন্ট ব্যবহারে ব্যবস্থা নিবে তা ছকে লিখ (একটি কাজে ব্যবহৃত সেফটি ইকুইপমেন্ট এর নাম উল্লেখ করা হলো)-

 

 

Content added By
Promotion